কুয়াকাটা এই উপজেলায় অবস্থিত। জেলা শহর থেকে কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের দূরত্ব প্রায় ৭০.৫০ কিলোমিটার। একই স্থানে দাঁড়িয়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্তের দৃশ্য দেখার বিরল সুযোগ থাকায় কুয়াকাটা বিশ্বের অনন্য পর্যটন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
বাঙালী সংস্কৃতির পাশাপাশি আদিবাসী রাখাইন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এ উপজেলাকে আরও বেশী বৈচিত্র্যময়।
প্রায় ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে দেখা যায় সূর্যোদয় ও সূর্য়াস্তের মনোরম দৃশ্য। যা একই যায়গায় দাড়িয়ে অবলোকন করা যায়। পাশেই রয়েছে দেড় শতাধিক একর জমিতে করা নারিকেল বাগান। নারিকেল কুঞ্চ নামেই পরিচিত। ১৯৬০ সালে ১৬৭ একর খাস জমি লীজ নিয়ে জনাব ফয়েজ মিয়া ‘ ফার্মস এন্ড ফার্মস’ নামে এ বাগান করেন। সৈকতের পূর্ব দিকে রয়েছে মনোরম ঝাউ বাগান। ১৯৯৭/৯৮ অর্থ বৎসরে বন বিভাগ ১৫ হেক্টর জমিতে বীচ সংলগ্ন ঝাউ বাগান করে। এর পরেই রয়েছে আর এক বিশাল বনাঞ্চল চরগঙ্গামতি। বনের মধ্যে রয়েছে ছৈলা, কেওড়া ও কড়াই বাগান। বিশাল এই বাগানের মাঝ দিয়ে বয়ে গেছে একটি লেক। কুয়াকাটা সৈকতের পশ্চিমে দিকে রয়েছে আর এক মনোরম বনাঞ্চল লেম্বুর চর। প্রায় এক হাজার একর জায়গা জুড়ে বাগানটি বিস্তৃত। কুয়াকাটা সৈকত থেকে ৫ কিলোমিটার পশ্চিমে বাগানের অবস্থান । বনে রয়েছে কড়াই, গেওয়া, ছৈলা ও কেওড়া গাছ। বেড়াতে আসা পর্যটকরা এখানে যায়, আন্ধারমানিক নদীর মোহনা যেখানে গিয়ে সাগরে মিশেছে তার পূর্ব দিকে লেম্বুর চর আর পশ্চিম দিকে রয়েছে ফাতরার চরের বিশাল বনাঞ্চল। ভৌগলিক ভাবে বরগুনা জেলায় বাগানটির অবস্থান থাকলেও কুয়াকাটায় আগত পর্যটকরা বিনোদনের জন্য সেখানে ট্রলার যোগে যাতায়াত করেন। কুয়াকাটা সৈকতের ৭ কিলোমিটার পশ্চিমে রয়েছে শুটকী পল্লী। অর্ধশতাধিক ব্যবসায়ী সুকনো(শীত) মৌসুমে সাগরের আহরিত বিভিন্ন মাছ সেখানে শুটকি করে। পর্যটকরা তাজা মাছ কেটে শুটকিজাত করার দৃশ্য দেখতে ভীড় জমায়। দেখতে পায় খুটা জেলেদের ইলিশ শিকারে সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালী করা জীবন জীবিকার যুদ্ধ। দেখতে পায় বেড় জালে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ শিকারের অনন্যদৃশ্য। পর্যটকদের থাকা খাওয়ার সুবিধা©র্থ গড়ে উঠেছে পর্যটন কর্পোরেশনের পর্যটন হলিডে হোমস ও রেস্তরা, জেলা পরিষদ ও এলজিইডির আত্যাধুনিক ডাক বাংলো। এছাড়াও বেসরকারী ব্যবস্থাপনায় অনেক আবাসিক ও খাবার হোটেল গড়ে উঠেছে। সরকারী উদ্যোগে নির্মিত রাখাইন কালচারাল একাডেমী , রাখাইন মহিলা মার্কেট নির্মানসহ ঐতিহ্য বাহী কুয়া ও বৌদ্ধ মন্দির সংস্কার করা হয়েছে। কুয়াকাটার ব্যাপক উন্নয়নের জন্য খাজুরা হতে গঙ্গামতি পর্যমত ইটিজেড এর আওতাভুক্ত করা হযেছে। কুয়াকাটা পর্যটন এলাকার গঙ্গামতিতে ইকোপার্ক ও বিমানবন্দর করার পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এছাড়াও কুয়াকাটা উন্নয়নের জন্য মাস্টার প্লানের কাজ চলমান রয়েছে ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস